বিটকয়েন হচ্ছে এক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রার নাম। অনলাইনে বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনা এবং স্টক এর মাধ্যমে ইনভেস্ট করার জন্য ব্যবহৃত মুদ্রা কে বিটকয়েন বিটকয়েন বলা হয়। অনেকে আছেন ক্রিপ্টোকারেন্সি তে ইনভেস্ট করেন। তাদের জন্য এক বিটকয়েন সমান কত টাকা সেটা জানার প্রয়োজন হয়।
তাছাড়া অনেকেই বিটকয়েন বর্তমানে কত টাকা মূল্য চলছে সেটা জানা আগ্রহ দেখান। আজকের এই পোষ্ট টি পরে আপনি এক বিটকয়েন সমান কত টাকা, বা কত ডলার সেটা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবে।
এক বিটকয়েন সমান কত টাকা, এক বিটকয়েন সমান কত সাতোশি, এবং এক বিটকয়েন সমান কত ডলার, সেই বিষয়গুলো আজকে আমাদের এই পোস্ট থেকে আপনি জানতে পারবেন। এই বিষয়গুলো ভালভাবে বুঝার জন্য পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। তাহলে বিটকয়েন সম্পর্কে সমস্ত তথ্য ও বিস্তারিত জানতে পারবেন।
১ বিটকয়েন সমান কত টাকা বাংলাদেশের
আমরা সকলে জানি বিটকয়েন একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি, যেটা কখনো ধরা ছোঁয়া যায় না। অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যমে বিটকয়েনের আদান-প্রদান হয়ে থাকে। আপনারা অনেকেই ১ বিটকয়েন সমান কত টাকা বাংলাদেশের। সেটা জানার জন্য অনলাইনে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের জন্য আজকে বিটকয়েন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব এই পোস্টের মাধ্যমে।
বাংলাদেশি কত টাকায় এক বিটকয়েন হয় সেটা জানার জন্য নিচের ছকটি দেখুন।
বিটকয়েন | টাকা |
---|---|
১ বিটকয়েন সমান | 2,060,654.70 |
২ বিটকয়েন সমান | 4,121,309.40 |
৩ বিটকয়েন সমান | 6,181,964.10 |
১ বিটকয়েন সমান কত ডলার
এক ডলারে কত বিটকয়েন পাওয়া যায় সেটা জানতে নিচের ছকটি ফলো করুন। ১ বিটকয়েন সমান কত ডলার এটা সহজেই জানতে পারবেন এখান থেকে। তাছাড়া ২/৩ বিটকয়েনে কত ডলার হয় সেটাও সহজেই জেনে নিতে পারবেন।
বিটকয়েন | ডলার |
---|---|
১ বিটকয়েন সমান | 29,621.00 |
২ বিটকয়েন সমান | 59,242.00 |
৩ বিটকয়েন সমান | 88,863.00 |
১ বিটকয়েন সমান কত ভারতিয় রুপি
এক বিটকয়েন সমান কত রূপি সেটা জানার জন্য আপনারা অনেকেই অনলাইন এ সার্চ করে থাকেন। আপনাদের জন্য আজকের আমাদের এই পোস্ট লেখা। এক বিটকয়েন সমান কত ইন্ডিয়ান রূপি হয় সেটা জানার জন্য নিচের ছকটি দেখুন।
বিটকয়েন | রুপি |
---|---|
১ বিটকয়েন সমান | 2,292,326.89 |
২ বিটকয়েন সমান | 4,584,653.78 |
৩ বিটকয়েন সমান | 6,876,980.68 |
১ বিটকয়েন সমান কত সাতোশি
বাংলাদেশ এ অনেকেই আছে যারা জানে না এক বিটকয়েন সমান কত সাতোশি। ১ বিটকয়েন সমান কত সাতোশি সেটা জানার জন্য অনেকেই অনলাইন এ সার্চ করে থাকেন। তাই আজকে আমরা এই পোস্ট এর মাদ্ধমে জানবো ১ বিটকয়েন সমান কত সাতোশি। নিচের ছকটি দেখুন তাহলে খুব সহজেই ১ বিটকয়েন সমান কত সাতোশি হয় সেটা বুঝতে পারবেন।
বিটকয়েন | টাকা |
---|---|
১ বিটকয়েন সমান | 1,00000000 |
২ বিটকয়েন সমান | 2,00000000 |
৩ বিটকয়েন সমান | 3,00000000 |
বিটকয়েন কি?
2008 সালে সর্বপ্রথম বিটকয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে উদ্ভাবন করেছিলেন সাতোশি নাকামোটা নামের এক ব্যক্তি। 2009 সাল থেকে বিটকয়েনের ব্যবহার শুরু হয়। প্রথমাবস্থায় বিটকয়েনের দাম কম থাকলেও দিন পরিবর্তনের সাথে সাথে বিটকয়েনের দাম ও আকাশছোঁয়া হয়ে যেতে থাকে।
বিটকয়েনের কাজ কি?
বাজার বা শপিংমলে কিছু কেনাকাটার মাধ্যম হিসেবে আমরা যেমন টাকা ব্যবহার করি। তেমনি বিটকয়েন ব্যবহার করেও আপনি পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকে কেনাকাটা করতে পারবেন। বর্তমানে সকল অনলাইন কম্পানি বিটকয়েন পেমেন্ট মেথড হিসেবে গ্রহণ করে থাকছে। বিটকয়েন দিয়ে আপনি যেকোন অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
বিটকয়েন যখন প্রথম এসেছিল তখন এটি ব্যবহারে তেমন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়ার ভয়ে বাংলাদেশ সরকার বিটকয়েন সহ সকল ক্রিপ্টোকারেন্সি অবৈধ ঘোষনা করেদিয়েছেন।
বিটকয়েন কি লাভজনক?
হ্যাঁ বন্ধুরা, আপনি যদি অন্যান্য জিনিসের সাথে বিটকয়েনে বিনিয়োগ করেন তবে আপনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এমনকি কয়েক বছর আগে যারা বিটকয়েনে বিনিয়োগ করেছিলেন তারা প্রচুর পরিমান অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
যেভাবে বিটকয়েন তৈরি হয়
কাগুজে মুদ্রা তৈরি হয় টাকা ছাপানোর মেশিনে। সরকার একে অনুমোদন করে, নিয়ন্ত্রন করে। এভাবে এতে সৃষ্টি হয় ক্রয়-ক্ষমতা (Purchasing power)। কিন্তু বিটকয়েন তৈরি হয় সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে। এটি তৈরির প্রধান উৎস-‘ব্লক চেইন নামক এক উন্নত প্রযুক্তি।
প্রযুক্তিটি আবিষ্কার হয়েছে ১৯৯১ইং সনে ব্লকচেইন (Block chain) একটি প্রযুক্তিগত ফ্রেমওয়ার্ক, যার ওপর বিটকয়েন তৈরি করা হয়েছে। ব্লক চেইন একটি চমৎকার প্রযুক্তি। সংক্ষেপে তার বিবরণ দেয়া হল।
ব্লক চেইন প্রযুক্তি
সাধারণত আমরা আরেক জনের কাছে টাকা পাঠাই তৃতীয় কোন মাধ্যমে। যেমন- ব্যাংক, পোস্ট অফিস ইত্যাদি। তদ্রুপ জমির মালিকানা হস্তান্তর করি ভূমি অধিদপ্তরের মধ্যস্থতায়। এসব তৃতীয় পক্ষ লেনদেনে মধ্যস্থতা করার পাশাপাশি অর্থ-সম্পদের নিরাপত্তাও প্রদান করে।
আমাদের লেনদেনের যাবতীয় তথ্য তাদের নিকট সংরক্ষিত থাকে। এই মাধ্যমগুলো ব্যবহারের অনেক সুবিধার মাঝে তিনটি অসুবিধাও আছে। যথা-
১. অতিরিক্ত ফি দিতে হয়।
২. লেনদেন সম্পন্ন হতে অতিরিক্ত সময় দিতে হয়।
৩. তৃতীয় পক্ষের নিকট সকল ডাটা চলে যায়। মূলত এই অসুবিধাগুলো দূর করতে আবিস্কৃত হয়েছে ইন্টারনেট ভিত্তিক এক বিশেষ ব্লক চেইন প্রযুক্তি। এর দুটি অংশ। যথা-
একটি খোলা খাতা
যখন কেউ ব্লক চেইন ব্যবহার করে ইন্টারনেটে কাউকে টাকা বা অন্য কোনো তথ্য পাঠায়, সেই ডেটা ব্লক করা হয় এবং ব্লক চেইন নেটওয়ার্কের লেজার মেইনটেনার্সে যোগ করা হয়। A-B-C-D-F এর মতো। ধরুন A B কে 100 টাকা পাঠিয়েছে। একইভাবে B C-কে কিছু পাঠিয়েছে।
এভাবে প্রত্যেকে পরের কাছে কিছু টাকা পাঠিয়েছে। যারা লেজার রক্ষণাবেক্ষণ করে তাদের দ্বারা এই পাঠানো ডেটা সংগ্রহ করা হবে। এখানে বড় হাতের ইংরেজি অক্ষর হল Laser Maintainer. পরিভাষায় তাদেরকে খনি শ্রমিকও বলা হয়। এটা মনে রাখা উচিত যে এখানে লেনদেন অবিলম্বে সম্পন্ন করা হয় না।
যাইহোক, অর্থ আসলে তাত্ক্ষণিকভাবে স্থানান্তরিত হয় না। বরং লেনদেন হওয়ার সাথে সাথে একটি ব্লক তৈরি হয়। সেই ব্লকে, প্রতি দশ মিনিটে যে লেনদেন হয় তা রেকর্ড করা হয়।
বিতরণ করা খাতা
একবার একটি ব্লক তৈরি হয়ে গেলে, এটি ব্লক চেইন নেটওয়ার্ক জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার কপি তৈরি হয়। এটি তখন উপরের প্রতিটি খনির লেজারে একটি ব্লক হিসাবে উপস্থিত হয়। কিন্তু লেনদেন বৈধ ছিল না। অন্য কথায়, অর্থ আসলে স্থানান্তর করা হয়নি। এখন সমস্ত শ্রমিকরা সেই ব্লকটিকে বৈধ করার জন্য একসাথে কাজ শুরু করে।
এটি সমাধান করার চেষ্টা করুন। যখন তাদের একজন এটি সমাধান করে, লেনদেন বৈধ। অর্থাৎ যার কাছে টাকা পাঠানো হয়েছে সে আসলে তা গ্রহণ করে। এই চাপা ব্লকই শেষ ব্লক।
আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে একটুও ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনার বন্ধু বান্ধবদের সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন। তাতে করে তারাও বিটকয়েন সম্পর্কিত এই বিষয়গুলো জানতে পারবে।
পোস্টটি যদি আপনাদের বুঝতে কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আমাকে কমেন্ট করতে পারেন। পরবর্তীতে কোন বিষয়ে পোস্ট লিখতে চান তা অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আপনাদের একটি কমেন্টই আমাদেরকে নিত্যনতুন পোস্ট লিখতে উৎসাহিত করে।